সভাপতি

ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা

সভাপতি

প্রধান শিক্ষক

ফাদার যোহন মিন্টু রায়

প্রধান শিক্ষক

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলাধীন জোনাইল-এর বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী স্ব-নামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সুদূর ইতালী থেকে পিমে মিশনারী পুরোহিতগণ এ অঞ্চলে এসে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন এবং গির্জার পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করেন ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে। এরপর এ অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রের অগ্রপথিকপিমে মিশনারী ফাদার এ্যান্জেলো কান্তন বোর্ণীতে আসেন এবং ১৯৫৮ খ্রীষ্টাব্দে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী আরম্ভ করেন। তিনি বোর্ণী ধর্মপল্লীর গির্জা, ছেলেদের ও মেয়েদের বোর্ডিং-এর পার্শ্বে “E” অক্ষর আকৃতি বিশিষ্ট ১২ টি কক্ষ সম্বলিত বিদ্যালয় ভবনটি নির্মান করেন। এরপর ১৯৬০ খ্রীষ্টাব্দেই তিনি বিদ্যালয়টি ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীতে উন্নীত করেন এবং উক্ত সালকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবর্ষ হিসাবে গণনা করা হয়। তাই সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ফাদার এ্যান্জেলো কান্তন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার এ্যান্জেলা কান্তন নিজেই প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে, ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন (১৯৬০-১৯৭৭), ফাদার মার্টিনেলী ৮ বৎসর (১৯৭৭-১৯৮৬)। অতঃপর স্বল্প সময় প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বর্গীয় শ্যামুয়েল রায় এবং ১৯ বৎসর ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্বর্গীয় খ্রীস্টফার দেশাই (১৯৮৬-২০০৬)। ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রদান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন ফাদার বিন্দু হেম্ব্রম, মি: গাব্রিয়েল কস্তা, ফাদার শংকর ডমিনিক গমেজ ও ফাদার যোহন মিন্টু রায়। বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষক এম.পি.ও ভুক্ত এবং ৫ জন শিক্ষক খন্ড কালীন সহ মোট ১৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সেবা দান কাজে রত আছেন।

আমাদের উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট

১। পরীক্ষার মানপত্র একটি সংরক্ষণজনক পরিচয়। ছাত্র জীবনে শ্রেণীগত পাঠের উন্নতির একটি মাপকাঠি।

২। এই বিদ্যালয়ের মুলনীতি “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” এই নীতি পালনে ছাত্র জীবনে তথা ব্যক্তিজীবনে উন্নতি সহজবোধ্য ।

৩। যেহতু শৃঙ্খলা বোধই সমাজ জীবন তথা জীবনের উন্নতির চাবিকাঠি সেহুতুই ছাত্র জীবনে শৃঙ্খলা বোধ শিক্ষা দেওয়াই আমাদের বিদ্যালয়ের একটি প্রচেষ্টা।

৪। জাতি ধর্ম শ্রেণী নির্বিশেষে পরস্পর সহযোগিতা ও সহানুভূতিশীলতার গুণ ব্যক্তি জীবনে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা আমাদের কাম্য।

৫। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

৬। ‘গুরুজনে কর নতি’ এই নীতি বাক্য বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট ।

৭। সহযোগিতা ছাড়া সর্বক্ষেত্রেই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ উন্নতির ক্ষেত্রে যেকোন সহযোগিতাই আমরা বিশেষ মূল্য দেই।

৮। পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাপারে কোনরুপ সুপারিশ অত্র বিদ্যালয়ের নীতি পরিপন্থী।

ভিশন ও মিশন

সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোর জেলাধীন বড়াইগ্রাম উপজেলার অর্ন্তগত একটি আদর্শ বিদ্যাপিঠ। শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়টি পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও মানসিক জীবন গঠন, সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সদা সচেষ্ট। যা একজন শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আমাদের স্বপ্ন, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ
Vision (স্বপ্ন)ঃ
আমাদের স্বপ্ন শিক্ষার্থীকে মানবিক মূল্যবোধে গঠনদানের মাধ্যমে জীবনমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।

Mission (উদ্দেশ্য)ঃ
মিশনারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে শিক্ষার্থীদের কথা, আচরণ, মানবিক ও নিজ নিজ ধর্মীয় মূল্যবোধে গঠন দানের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই উদার, নৈতিক মূল্যবোধে বলীয়ান, সেবাপরায়ন ও দেশপ্রেমিক মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা।

Goal (লক্ষ্য)ঃ
আমাদের বিদ্যালয়ের লক্ষ্য হলো-

  • “শিক্ষা, সেবা, প্রগতি”- এই মূল নীতিতে জীবন গঠন।
  • ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষা ও পারস্পরিক সহযোগিতা, সহভাগিতা ও সহমর্মিতার মনোভাব গড়ে তোলা।
  • প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলা।
  • সুবিধা বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা।
  • দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সুনাগরিক গড়ে তোলা।
  • শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি।